December 22, 2024, 9:31 am
দৈনিক কুষ্টিয়া অনলাইন/
কর্ম-বিরতির ১২তম দিনে কর্মকর্তাদের আন্দোলন স্থগিত রাখার ঘোষণা দিয়েছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সমিতির নেতৃবৃন্দ।
বেতন-স্কেলে বর্র্ধিত অংশ সংযোজন, চাকরির বয়সসীমা বৃদ্ধির স্থগিত সিদ্ধান্ত পূর্ণবহাল ও কর্মকর্তাদের অফিস সময়সীমা যৌক্তিককরণের দাবিতে কর্মবিরতি পালন করে আসছিল ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তারা। গত ১৯শে ফেব্রুয়ারী থেকে এই কর্মবিরতি চলছিল। বুধবারও কর্মবিরতি পালন করে তারা।
জানা গেছে দাবি বাস্তবায়নের আশ্বাসের প্রেক্ষিতে আন্দোলন স্থগিত করা হয়েছে। সূত্র জানায় যৌক্তিক দাবিগুলো পূরণে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন একটি কমিটি করে দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে। কমিটির প্রতিবেদনের পর এসব দাবিগুলোর বিষয়য়ে সিদ্ধান্ত নেয়ংা হবে।
কর্মকর্তাদের দাবিগুলো ছিল সহকারী রেজিস্ট্রার পদে ৩৫ হাজার ৫০০ ও উপ-রেজিস্ট্রার বা সমমান পদের বেতন স্কেল ৫০ হাজার টাকা, চাকরির বয়সসীমা ৬০ বছর থেকে ৬২ বছরে উন্নীতকরণ এবং কর্মঘণ্টা ঠিক রেখে (১দিন ছুটি) সকাল ৮টা থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত অফিস সময় নির্ধারণ করা।
ক্যাম্পাস সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে কর্মকর্তারা সহকারী রেজিস্ট্রার পদে ৩৫ হাজার ৫০০ ও উপ-রেজিস্ট্রার পদে ৫০ হাজার টাকা বেতন স্কেলের দাবি করে আসছেন। আন্দোলনের প্রেক্ষিতে ২০১৯ সালে ২৪৭ তম সিন্ডিকেট সভায় শর্ত স্বাপেক্ষে দাবি মেনে নেয় তৎকালীন প্রশাসন। এতে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ের ফলাফল ও চাকরির সময়ের উপরে কিছু শর্ত আরোপ করা হয়। এছাড়া কোন প্রশাসনিক জটিলতা সৃষ্টি হলে এই সুবিধা সংশোধন করার কথা বলে প্রশাসন।
এদিকে সোমবার বিকেল সাড়ে ৩ টায় কর্মকর্তা সমিতির কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে আন্দোলনের বিস্তারিত তুলে ধরেন সমিতির সভাপতি এটিএম এমদাদুল আলম।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, বর্তমান প্রশাসনের কাছে বহুবার দাবিসমূহ বাস্তবায়নের জন্য লিখিত ও মৌখিকভাবে অনুরোধ করা হয়েছে। বিবিণœ বিশ^বিদ্যালয় যেমন ঢাবি, রাবি, চবি জাবি, পাবিপ্রবি, নোবিপ্রবিসহ বেশকিছু বিশ্ববিদ্যালয়ে দাবিসমূহ বাস্তবায়িত হওয়ায় ইবির বর্তমান প্রশাসন এই ন্যায্য দাবির সাথে নীতগতভাবে একমত পোষণ করেন এবং তা বাস্তবায়নের জন্য বারবার দৃঢ়ভাবে প্রতিশ্রুতি প্রদান করেন।
ইতোমধ্যে ইবির সহকারী ও সমমান পদে কর্মরত সিনিয়র মেডিকেল অফিসার এবং আইসিটি সেলের ডাটাবেজ প্রোগ্রামার ও সহকারী প্রধান কম্পিউটার ইনস্ট্রাক্টর পদের বেতন স্কেল ৩৫ হাজার ৫০০ টাকা থেকে ৬৭ হাজার ১০ টাকা (গ্রেড-৬) প্রদান করা হয়েছে।
এটিএম এমদাদুল আলম আরও বলেন, কতৃর্পক্ষের সর্বশেষ দেয়া প্রতিশ্রুতি অনুযায়ি সর্বশেষ অনুষ্ঠিত ২৫৪ তম সিন্ডিকেট সভায় বেতন স্কেল সংক্রান্ত যে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে তা জাতীয় পে-কমিশন কর্তৃক ঘোষিত সরকারী আদেশের পরিপন্থী। এই সিদ্ধান্ত কোনভাবেই মেনে নেওয়া সম্ভব নয়।
এদিকে বিশ^বিদ্যালয়ে অব্যাহত কর্ম-বিরতির কারনে মুখ থুবড়ে পড়ে সকল দাফতরিক কাজ। জরুরী বিবেচনায় ও শিক্ষার্থীদের কথা চিন্তা করে কয়েকটি অফিসের কাজ চললেও সার্বিক কার্যক্রম না চলায় অচলাবস্থা দেখা দেয় বিশ^বিদ্যালয়ে।
অন্যদিকে বিশ^বিদ্যালয় প্রশাসন এ বিষয়ে ত্বরিত কোন সিদ্ধান্ত নিতে ব্যর্থ হয়। বিশ^বিদ্যালয়ের প্রশাসনের মধ্যে অভ্যণÍরীণ দ্বদ্বে¦র কারনে সহসায় কোন সিদ্ধান্ত যায় না বলে জানা যায়।
এ বিষয়ে প্রশাসনের উর্ধ্বতন একজন ব্যক্তির সাথে কথা বলতে চাইলে তিনি এখনও কোন মন্তব্য করতে অপারগতা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন বিষয়গুলো নিয়ে আলোচ না চলছে।
এমদাদুল আলম জানান দাবি যথাযথভাবে বাস্তবায়ন না হলে পূনরায় আন্দোলন শুরু হবে।
Leave a Reply